এনালগ
ফোনের ডায়াল করার গোল চাকতি
ঘুরিয়ে
যাচ্ছি প্রায় মিনিট
দশেক,
অফিসের একমাত্র মূল্যবান সম্পদ। এন্টিক
জিনিস-
মাঝে মাঝেই
সিগ্ন্যাল
পাওয়া যায়না এতে। ফোন
রিসিভার
কানে ধরেই সমুদ্রের
গর্জন
শুনতে পেলাম...শো...শো...হরররর...
-হ্যালো,
কে বলছেন?
-আমি
বিভূতি, মাসিক জয়যাত্রা প্রেস থেকে
বলছি,
গগনদা আছে?
-একটু
ধরুন, দিচ্ছি।
রিসিভার
মিনিট চারেক কানের কাছে ধরে
আছি, টু
শব্দ করার মত কেউ এখনো পর্যন্ত কানের পাশে এলো না। ধৈর্য অনেক বড়
ব্যাপার,
আমার মাঝে এর উপস্থিতি বড্ড কম।
বিরক্ত
হয়ে ফোন রেখে দেব
ভাবছি,
আচমকা...ফোনের ওপাশে ভারী গলায়,
হ্যালো,
কে বলছেন?
পাল্টা উত্তরে
বললাম,
-আমি
বিভূতি, জয়জাত্রা প্রেস, গগনদা...?
-হ্যাঁ,
আমি বলছি রে, কি খবর, কেমন আছিস?
-দাদা,
ভাল আছি কিছু কথা ছিল আজ সময় হবে একটু?
-হ্যাঁ
বল শুনছি!
কিন্তু
আজকের ব্যাপারটা ফোনে বলা যাচ্ছে না!
হুম,
তাহলে এক কাজ কর, বিকেলে আমার
বাসায়
চলে আয়
কখন?
চারটের
দিকে!
আচ্ছা,
বাই গগন'দা
ওকে।
এখানে ছোট্ট করে
বলতে গেলে বলা যায়,
গগনদা
আমার লিখালিখির গুরু। চমৎকার মানুষ। বুদ্ধিমান ও বটে।
নিজের প্রেস আছে,
সেই সাথে সম্পাদকের আসন খানাও তার দখলে।
উনি
ওনার নিজের প্রেসের কাজে
রীতিমত
ব্যাস্ত থাকেন। ওনার প্রেসে আমার অবশ্য আগে যাওয়া হত অনেক, এখন আর হয়ে উঠে না।
আমিও ব্যাস্ত আমাকে নিয়ে।
আমার
নিজস্ব কাজ, প্রেস,
লেখালেখি,
ঘুরাঘুরি
এসব আর
কি। তবুও লেখালেখি সংক্রান্ত বিপদে তিনিই আমার ভরসা।
তবে
আজকে
ওনার সাথে দেখা করার বিষয় লেখালেখি নয় বরং অন্যকিছু।
প্রেস
থেকে ঘড়িধরে -বিকেল তিনটে ত্রিশে বেড়িয়ে গেলাম তার বাসার উদ্দেশ্যে, আমার
পড়নে
গরদের পাঞ্জাবী এবং কালো প্যান্ট।
পায়ে
হালকা ওজনের
স্যান্ডেল।
বাইরে রোদের উপস্থিতি কম তাই
ছাতা
নেইনি সাথে। রিক্সা
ডেকে
সোজা নিউমার্কেট হয়ে গগনদার
বাসা।
সিঁড়ি
ধরে দু’ মিনিট ঊঠেই দোতলায় গগনদার
বাসা।
একা থাকেন,
ব্যাচেলর।
তার বয়েস আমার চেয়ে কিছুটা বেশী। ষাটের উপর হয়ত!
মাথার
চুল স্ট্রেইট
ব্যাক
ব্রাশ করা, খোচাখোচা দাড়ি রাখেন,
এটা তার
ফ্যাশন। কাঁচাপাকা গোঁফ। এই তার বেশভূষার ধরন।
সিড়ি ধরে দোতালায়
উঠেই রঙচটা দরজায় টোকা দিলাম।
ঠকঠক...
ভেতর থেকে প্রশ্ন
এলো ভারী গলায়,
-কে?
-দাদা,
আমি বিভূতি।
কড়ক
শব্দে দরজা খুলে যাবার আগে সিটকিনি খোলার ঠাস একটা শব্দ
হলো।
সিটকিনি বিগড়ে যাবার আগের দশা
হয়ত।
গেঞ্জি গায়ে মোটা
চশমা চোখে আমাকে বললেন হাসি মুখে, 'আয় আয়... কেমন আছিস?
নে বসে পড়!'
হাসিমুখে বসে গেলাম
সোফায়।
তিনি বললেন,
বড্ড
শুকিয়ে গেছিস দেখছি? (চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে গগনদা)
না
দাদা, এই আছি। তোমার কি খবর?
পাশের সোফায় বসে ডান
হাতে তবলা বাজানোর ভংগিতে হাতলে দু টোকা মেরেই বললেন,
'খবর
পরে বলছি, কি খাবি আগে সেটা বল? তবে এখন চা ছাড়া কিছু পাচ্ছিস না এ বলে রাখছি!'
মৃদ্যু হেসে বললাম,
চা-ই
অমৃত, দিয়ে দাও হেব্বি চলে যাবে।
দেখলাম, গগনদা হাতে থাকা পত্রিকা টেবিলে
রেখে
ভেতরে গেলেন চা আনতে।
আমি
এবেলায় ঘরের ভেতরে চোখ
বুলালাম-
বেশ পরিবর্তন হয়েছে বলতে হয়!
তবে ঘরের দুটো জিনিশ
দেখে আমার ভয়াবহ মাত্রায় খটকা লেগেছে, আমতা আমতা ভেবে থেমে গেলাম।
প্রতিভাবান
লেখক হিসেবে তার যঠেষ্ট
নাম ডাক
রয়েছে। গগন কুমার ধর। নিজের প্রেস থেকে বের হওয়া সাময়িকীতে
“জটিল
কড়চা” নামে তার নিজের
প্রকাশিত
লেখা ধুন্ধুমার হিট; পাব্লিকও হুমড়ি
খেয়ে
পড়ে সেটা পড়তে।
তবে
সেটা ইদানিং হচ্ছে না। এর কারন আমার মানে আমাদের "জয়জাত্রা" প্রকাশন।
আমাদের
প্রেস থেকে সাপ্তাহিক রহস্য
উপন্যাস
“প্রক্ষালন” নামে লেখাটা তো আমার
নামেই
যাচ্ছে সেখান
থেকে।
এটাও অবশ্য পাব্লিক পড়ছে বেশ।
অবশ্য
গগন'দাকে ভাল পাঠক
বলতে
হবে কারন, এতক্ষন পড়তে থাকা
পত্রিকাটা
আমার প্রেসের।
সেটি প্রক্ষালনের
লালচে কাভার, এটি আমার হাতেই করা।
গগন'দা ফিরে এসেছেন
এর মাঝেই,
হাতে দুটো গ্লাস,
তাতে চা ভর্তি। একটা স্পুন এবং মিনি সাইজের চিনির কৌটো।
বললেন,
-কিরে
ক’চামচ?
-ক’চামচ!
-আরে
চায়ে চিনি দেব তাই বলছি।
ডান হাতের
আঙ্গুল তুলে বললাম, জাস্ট ওয়ান অ্যান্ড হাফ! চাইলে টু স্পুন ও হতে পারে...
আমাকে থামিয়ে বললেন,
-আরে
রাখ! চিনির দাম চড়া, এক চামচেই হয়ে যাবে তোর! আবার হাফ
চাই!
-নে ধর
(হাতে চায়ের গ্লাস ধরিয়ে দিল
গগনদা,
ব্যাচেলর লোকের
বাসায়
বউ না থাকার মত করে আর সবকিছুর মত চায়ের কাপও থাকে না, তাই
গ্লাসেই
চা)
-নে
এবার বল কি হয়েছে, যেটা ফোনে বলতে
পারলি
না। সিরিয়াস কিছু? (চায়ে চুমুক দিতে দিতেই বললেন কথাটা)
আমিও চায়েই ডুব
দিয়েছি, চা অসম্ভব মাত্রায় ভালো হয়েছে।
গগন'দার
প্রশ্নের জবাবে, আমি আমার হাতের চায়ের গ্লাসটা টেবিলে রেখে আমার গরদের পাঞ্জাবীর
পকেটে
হাত
দিলাম, তারপর পকেটে ভাজ করা কাগজটা বের করে সেটা দিলাম গগনদার হাতে,
ওটা হাতে নিয়েই
প্রশ্ন করলেন আমায়,
-কি
এটা? (মুখ বাকিয়ে গগনদা)
-খুলেই
দেখো। (বলেই আবার আমি চায়ের গ্লাসে চুমুক দিলাম)
কাগজটা
হাতে নিয়ে বার দু'য়েক ভ্রু নাচিয়ে কপালে ভাজ ফেললেন গগনদা, এরপর চুপ। তিনি আর কোন
কথা বলছেন না,
এরপরে
ই- ধপাস করে বললেন,
'আরে
ধূর! কি সব যাতা! কিছুই বুঝতে পারছি না।'
লাল
কালিতে হিন্দীতে আবোল-তাবোল কিছু লেখা! (এই বলে হাতে দেয়া কাগজ টা ছুড়ে
ফেলে
দিলেন গগনদা)
আমি বললাম,
-কিন্তু,
ব্যাপারটা বুঝলাম না, গগনদা!
আবার চায়ে চুমুক
গিয়ে গোমড়া মুখে বললেন,
-আরে
রাখ। ছোট্ট একটা হুমকি! তোকে লেখালেখি করতে মানা করছে! এসব চিন্তা করিস না!
বললাম,
গগন'দা! কিছুই বুঝছি না!
গগন'দা
বললেন,
'ও আর
বুঝে কাজ নেই, আনাড়ি লোকের কাজ। সেটা বাংলা কিংবা ইংরেজীতে হলেও চলত।' (হিন্দী...
বলেই নাক সিটকে গেলেন গগনদা, বিড়বিড় করে গ্লাসের চায়ে চুমুক দিলেন)
আমি বিস্ময় কাটাতে
না পেরে বললাম,
'এটা তো ডাকে এসেছে
আমার নামেই, কেউ বিনে পয়সায় হুমকি দিয়েছে আর তুমি বলছ
কিছু না?'
তিনি বললেন,
-নাহ,
একদমই না, একবার পড়ে দেখেছিস?
আরে দাদা!
-হিন্দীতে
লিখা, পড়ব কি করে?
ঠাট্টার হাসি দিয়ে
বললেন,
হাহাহা...
এই নিয়ে নিজেকে গোয়েন্দা
ভেবে
বসে আছিস? সামান্য
ভুলভাল
হিন্দী শব্দের মানে বের করতে
পারছিস
না!
উপহাস করাতে আঁতে
খোঁচা লাগল, বললাম,
-হেয়ালি
না করে বুঝিয়ে বলো।
গগনদা
হাতের চা শেষ। তিনি খালি গ্লাস টেবিলে রেখে সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন, তারপর গায়ের
গেঞ্জি কোমর পর্যন্ত টেনে নামিয়ে হাতদুটো ভাজ করে
কোলে
তুলে বললেন, দ্যাখ! ব্যাপারটা সিম্পল, 'কেউ তোকে ভয় দেখাচ্ছে,
সেজন্য
এই চিঠি। তোকে তোর কাজ থেকে
দূরে
যেতে বলা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে আপনা করম সে দূর রহেনা মানে ভুল উচ্চারণ, হবে
রেহেনা! '
সায় দিয়ে বললাম,
-মানে,
লেখালেখি?
-হয়ত,
সেটাই!
আমি বললাম,
-কিন্তু
সেটা তো বাংলা বা ইংরেজীতেও
হতে
পারত?
গগন'দা বললেন,
-পারত!
কিন্তু তার হয়ত মনে হয়েছে, হিন্দীতেই সেটা ভাল হবে তার হুমকির গুরুত্ব বেড়ে যাবে।
সে নিজেকে লুকিয়ে কাজটা করতে চেয়েছে।
চা খেতে ভুলে গেছি
বললে ভুল হবে, আমি মুখে কৌণিক হাসি হেসে চলেছি সেটা গগন'দা হয়ত দেখেননি!
তার কথায় সায় দিতে
বললাম,
-তার
মানে, তুমি বলতে চাইছ কেউ আমাকে ভয় দেখাচ্ছে?
চকমকে চোখে আমার
দিকে ফিরেই বললেন,
-একদম
তাই। এখানে কাগজে হুমকিই আছে তোর জন্য, তোকে সাবধানে সরেযেতে বলেছে ক’ মাসের জন্য!
এই!
-আচ্ছা! আমি সরে গেলেই কি সব ঠিক হয়ে যাবে গগন'দা?
-তাই তো
বলেছে।
আমার
চায়ের গ্লাসে এখনো চা আছে তাতে
ঝটপট
চুমুক দিয়ে বাঁকা
হাসি
হেঁসে বললাম,' থাক দাদা ওসব রেখে
দাও।
হঠাৎ করে আসা উড়ো
চিঠির
কোন মূল্য নেই! তবে তুমি অনবদ্য!'
আসলে
আমাকে লেখা ওই টুকরো কাগজের মানে জানা
আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল।
আমি সরে গেলেই মনে
হয় হুমকি দাতা খুশী?
হুম বলে সায় দিলেন
গগন'দা, তারপর বললেন,
-সিগারেট
আছে তোর কাছে?
-হ্যাঁ,
পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের
করে
এগিয়ে দিলাম তার হাতে
গগনদা,
শুরু করলেন সিগারেট ধরিয়ে, শোন-
এতে আরো
বলা
আছে
আগামীতে তুই আর লিখছিস না,
মানে? (অবাক হয়ে
গেলাম এবারের কথায়)
মানে হচ্ছে,
তোর
লেখালেখি বন্ধ!
-বন্ধ!
(চোখভর্তি বিষ্ময় আমার)
সিগারেটের
ছাই জমা অংশ কসরত করে
ছাইদানিতে
ফেলে গগনদা
বললেন,
হ্যাঁ!
বললাম,
-সে কি?
আমার লেখাতে তার কি সমস্যা?
আমার
লেখা তো সামান্য একটা
গল্প এর
বেশী কিছু নয়! আর এমন নয় যে আমি কারো বিরুদ্ধে কিছু লিখছি!
গগন'দা
আড় চোখে আমার দিকে তাকিয়ে
বললেন,
'তোর লেখা থেকেই তার মনে হয় আলার্জি হয়েছে! তোর লেখার সাথেই হুমকি
দাতার
ব্যাপক শত্রুতা। (এই বলে সোফায় বসলেন তিনি)
বললাম,
-আমার
লেখার সাথে তার কি শত্রুতা?
তিনি বিরক্ত হয়েই
গেলেন এবার!
-আমি কি
করে বলব? (কিছুটা রেগেই গেলেন
এবার
গগনদা)
'নে
এবার তুই যা! আমার কাজ আছে, আর তুই ক’মাসের জন্য ট্যুরে চলে যা।
পরে এসে
কাজে মন দিস। আমারও কাজ আছে আজ। পরে ফোন করে আমাকে আপডেট দিস!'
আমি
এবার মুচকি হেঁসে উঠে পড়লাম,আমার
তালগোল
পাকানো ব্যাপারটার চমৎকার সমাধান করে দিয়েছেন গগনদা, সেও আবার নিজের ভুলে!
আন্দাজ কিংবা খটকা
আগেই লেগেছিল, সেটা আরো পরিস্কার হয়েছে গগন'দার দেয়া উপদেশ পেয়ে।
হাসিমুখে তাই গগন'দাকে বললাম, ‘দাদা, হিন্দী লিখা তো তোমার আসে না, ভুলভাল
হিন্দী
লিখে কেন আমায় কেন হুমকি দিচ্ছ?
অবাক চোখে আমার দিকে
চেয়ে বললেন,
-মানে,
তুই কি বলতে চাস? তুই কি বলতে চাস?
আমি
হুমকি দিয়েছি তোকে?
ঠান্ডা গলায় বললাম,
-হ্যাঁ।
তুমি জানো আমি হিন্দী ভাষা একদমই
বুঝি
না, তাই বাংলা কিংবা ইংরেজীতে না লিখে হিন্দী বেছে নিয়েছ, যাতে আশেপাশের
যে
কাউকে আমি সন্দেহ করি। আর তোমার উপর সন্দেহ না পড়ে। তুমি সম্প্রতি আমার লেখার
প্রতিদ্বন্দ্বী সেটা কে না জানে!
তাই যদিও তুমি আমার
গুরু তবুও শিষ্যকে ঘাবড়ে দেয়া তোমার বুদ্ধিরজয় হতে পারত।
কিন্তু না! কাছে
এসেও পারলে না!
-এটা
একদম বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে বিভূতি! যাচ্ছেতাই বলে যাচ্ছিস!
(রেগে
গেছেন গগনদা)
মোটেই
নয়,
তোমার
টেবিলের তলায় পড়ে
থাকা
সস্তায় ‘এসো হিন্দী শিখি’ তার প্রমান!
চিঠিটা
হাতে এসেছিল আমার কাছে আজ সকালে প্রেসের ঠিকানায়।
লেখাগুলো
সব মার্কার পেনের লাল কালিতে বেশ বড়সড় অক্ষরে!
সেটা যে
তুমি দিয়েছো তা আন্দাজ করতে পারিনি যদিনা আমার প্রেসের মতিন মাঝারি বয়েস উল্লেখ না
করত।
গগন'দা বললেন,
উল্টোপাল্টা বকছিস কেন?
আমিই করেছি প্রমাণ
আছে? আর হিন্দী শেখার বই টা আমার পাশের রুমে থাকা সংস্কৃতির প্রফেসরের!
মেনে নিচ্ছি,
'কিন্তু মার্কারের লাল কালি?
আজ
সকালে হুমকি দেবার চিন্তায় নিজের
টেবিলে
রাখা লাল কলমের ক্যাপ এখনো বন্ধ
করোনি।
হুমকি তোসে কলমেই লিখা!'
(এই বলে মুচকি হেঁসে দিলাম আমি)
গগনদা
চুপ করে মাথা নিচু করে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে গেলেন। তিনি কি বলবেন
বুঝতে
পারছেন না। আমাকে নিজে থেকেই
দরজা
খুলে নিতে হলো।
শুধু বললেন, সরি!
গগন'দা আমি আজ আসছি, চায়ের জন্য ধন্যবাদ। যদিও চায়ে চিনি কিন্তু কম হয়ে
গিয়েছিল। আমি সিঁড়ি ধরে এগুলাম।
(সমাপ্ত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন