সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৮

অবেলায়

(১)

এনায়েউল্লাহ যতক্ষণে ঘুম থেকে উঠলেন ততক্ষণে দুপুরের রোদ টাইলস করা বারান্দায় হামলে পড়েছে আক্রোশের সাথে। বিছানার পাশে এখন মাঝারি সাইজের কোলবালিশ দেয়া থাকে যেখানে মাস তিনেক আগেও তার অসুস্থ স্ত্রী সুফিয়া খাতুন আধমরা হয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতেন। হাঁপানি রোগী, এই ঘরে বড্ড বাতাসের অভাব। তবুও অভিযোগের জায়গা নেই। আছেন দয়া পেয়ে এতে ই কম কি?
স্ত্রী চলে যাওয়ায় পাখির ডানার মত একগাদা ভারী পাথর এসে যেন কাঁধে জুটেছে ধীরেধীরে। চলাফেরায় এসেছে স্থবিরতা। ছেলেবউ, নাতি-নাতনি সবাই আছে তবুও প্রাণে কোন চঞ্চলতা নেই। বিছানা ছেড়ে টী টেবিলে থাকা মোটা চশমা টা চোখে দিয়ে ধীর পায়ে ওয়াশরুমের দিকে যেতে না যেতে শব্দ টা পেলেন। কাজের মেয়েটা কাঁদছে, সম্ভবতঃ বৌমা তাকে মারছে। মেয়েটা ত্রাহিত্রাহি চিৎকার করছে।
মনে মনে ভাবলেন, রোজ করে এভাবে মেরে মেরে আধমরা না করে একেবারে মেরে ফেলে দিলে ই তো ভাল হয়। ওয়াশরুমে যাবার তাড়া থাকলেও ধীর পায়ে তিনি একবার শব্দ উৎসের দিকে যেতে মনস্থির করে হাঁটা দিলেন, ড্রয়িংরুম থেকে রান্নাঘরের মাঝামাঝি এসে থেমে গেলেন। কন্সট্রাকশান কাজে বেঁচে যাওয়া রড দিয়ে মেয়েটার পিঠে, শরীরে বেধড়ক মারছে বৌ মা!
কি হয়েছে মা! ওরে মারছো ক্যান?
আব্বা!! আব্বা!! আপনি সরেন, না হলে আপনার গায়েও পড়বে!!
আহা! একে না মেরে বোঝানো যায় না? বাচ্চা মেয়ে-
আপনি বোঝান! বোঝান না কেন? সারাদিন ঘরে বসে কেবল ছেলের অন্ন গেলেন। একটু তো কাজ করেন।
এনায়েতউল্লাহর শিঁড়দাড়া বেয়ে ঠান্ডা একটা স্রোত খেলে গেলো, এভাবে তাকে অপমান করে গেল বৌমা। একবার স্কুলের টি এন ও সাহেব কে মনে পড়ে গেলো এনায়েত সাহেবের। তাগড়া বয়েস, স্কুলের সহকারী শিক্ষক এনায়েতউল্লাহ।
এক ছেলে পরীক্ষায় নকল করে লিখছিল, সেটা তার নজরে না এলেও ঠিকি এলো টি এন ও-র নজরে। ধমকে উঠলেন টি এন ও, অনেক টা রেগেও গেলেন তিনি।
গার্ড দিচ্ছেন না মোয়া গেলাচ্ছেন?
সেদিন ও কড়া শিক্ষক এনায়েতউল্লাহ রক্তটগবগে জবাব দিতে গিয়েও দেন নি, কারণ এটা সরকারি চাকরি। বাড়িতে মুখগুলো না খেয়ে থাকবে। আজো থমকে গেলেন, নিজের মুখের ভয়ে নয় বরং আত্মসম্মান!
মেয়েটার মাথায় হালকা হাত বুলিয়ে চলে এলেন দ্রুত, চোখের কোণায় জল। না না, কড়া মনের মানুষের চোখের জল তো এত টা তুচ্ছ হতে পারে না। ঝটকায় এসে ঝরে যাবে!

(২)

শার্ট ইন করে একেবারে বৌয়ের মুখোমুখি হলেন আকিফ হাসান, উঠতি ব্যবসায়ী। তিন বন্ধুর একসাথে পার্টনারশিপ, সেখানে বাবার টাকার একাংশ নিয়ে ব্যবসা শুরু তার। বাবা বুড়ো হয়েছেন, এখন তার টাকা দিয়ে কি করার আছে?
বরং তিনি আমাদের সাথে থাকবেন। দরকার হলে ছোট ভাই বোনের কাছেও যাবেন। আকিফের মা এ শুনে বলেছিলেন, " বাবা, আমাগো কি কলার ভেলা বানাই দিলি একবার এই ঘর, আবার ঐ ঘর ভাসাইন্না ভেলা!”
ছোট ছেলেটা বলে উঠে, " মা চুপ থাকো, এটাই ভাল তুমি বুঝবা না! "
এনায়েতউল্লাহ স্ত্রীর হাতে হাত রেখে বলেন, " চুপ থাকো "
সেদিন চলে গেছে অনেক আগে ই, দিন দ্রুত চলে যায়। খুব দরকারী ছাড়া আমরা কিছু ই আজকাল মনে রাখি না। টাকা পাবার তারিখের মতো লাভ ছাড়া কিছু তারিখ আমরা আজকাল ভুলে যেতে ভালোবাসি।
-কি হয়েছে? সকাল সকাল চেঁচামেচি করছিলে যে?
(প্রশ্ন টা করেই জ্বিভে দাঁতের কামড় দিলেন আকিফ)
-কি ই? আমি? আমি করি চেঁচামেচি! তাহলে কে আছে? হ্যাঁ কে সামলায় এ সংসার? বেশী বুঝবে না বলে দিলাম!
-আচ্ছা, আমি তো কথাটা সেভাবে বলিনি।
-কিভাবে বলবে? হ্যাঁ, আমি সারাদিন কাজ করে ঝিঁ এর মত মরে যাই আর আমার ঘাড়ে ফেলে রেখেছো দুই অকর্মণ্য বসে খাওয়া দুই টা মানুষ!
(এনায়েতউল্লাহ ভাবছিলেন, বউমা কে গিয়ে একটু বুঝিয়ে বলে আসবেন কিন্তু দরজার মুখে এসে নিজের নামে অকর্মণ্য শব্দটা শুনে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলেন না, কষ্টে বুকের ছাতি তার ফেঁটে যেতে চাইল। বৌমা এতকিছু বলে গেল অথচ তার ছেলে নিজের বাবার হয়ে কিছুই বলল না!)
ধীর পায়ে আবার নিজের ঘরের দিকে ফিরলেন এনায়েতউল্লাহ। মনে মনে ভাবলেন এখনো অনেক গাধা পিটিয়ে তিনি মানুষ করার ক্ষমতা রাখেন।
ছেলের বৌয়ের গলায় আওয়াজ আরো বেড়ে গেলো হয়ত, এবার শুনিয়ে শুনিয়ে বলতে লাগল, " বসে বসে আর কত? একটু হাতের কাজও তো করা যায়!"
আকিফ মাথা নীচু করে গলার টাই টা জোরে কয়েকবার টেনে ঘরে থেকে দ্রুত বেড়িয়ে গেলেন।
-কই যাও? খেয়ে যাও!
-খিদে নেই!

(৩)

আলুর প্লেটে আলুর খোসা ছাড়াচ্ছিলেন এনায়েতউল্লাহ।
-আরে আব্বা কি করছেন?
-কাজ করছি!
-না না আব্বা, আসুন আসুন (হাত থেকে ছুরি আর আলুর প্লেট সরিয়ে তাকে রুমে দিয়ে এলেন বৌমা)
কাজের মেয়েটি শুয়ে, মেয়েটিকে আলু খোসা ছাড়ানোর কথা বলে দুপুরের নিউজ দেখছিলেন তিনি। এই ফাঁকে কাজের মেয়েটি পরে পরে ঘুমাচ্ছে আর শশুর এসে আলুর খোসা ছাড়াচ্ছে।
দেখে মোটেই পছন্দ হলো না তার, চুলের মুঠি ধরে ই রডের আঘাতে লাল হয়ে আসা সেই পিঠেই কষে চড় থাপ্পড় বসিয়ে দিলেন। আচমকা আক্রমণে মেয়েটি হতবিহ্বল হয়ে অন্য ঘরের দিকে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে গেলো। মা গো.. বাবা গো.. বলে..
অফিসে জরুরি মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন আকিফ, একটা চাইনিজ পোষাক আমদানি কারি কোম্পানির কয়েকজনের সাথে। সেখানে বৌয়ের ফোন, একবার দুবার নয় পনেরোবার!!
ফোন সাইলেন্ট থাকায় ক্লায়েন্ট ব্যাপার টা বুঝতে পারেনি ঠিকি কিন্তু অন্যমনস্ক ভাব টা তারা বুঝতে পেরেছে।
এদের একজন ই বললেন, " আর ইউ ইন এনি ট্রাবল? প্লিজ, টেক এ ব্রেক দেন "
আকিফ কৃতজ্ঞতাসূচক মাথা নাড়িয়ে ফোন হাতে বাইরে এলেন রুমের,
-হ্যালো! কি হয়েছে?  বারবার ফোন করছো কেন?
- এই তোমার বাবা, তোমার বাবা!! তার জন্য আজকে কাজের মেয়েটার এত্ত সাহস।
- শোন, আমি জরুরি একটা মিটিংয়ে আছি এই ডিল টা না হলে না খেয়ে থাকতে হবে বুঝলে?
- আমি কিছু বুঝি না, তোমার বাবা কে আর এ বাসায় দেখতে চাই না আমি বুঝলে?
- আমি রাখছি।
ফোনের বিপ টোন শোনা গেলো।
কাজের মেয়েটিকে চুল ধরে টেনে এনে আবার কাজে বসিয়ে দিলেন তিনি।

(৪)
মেয়েটা চা দিতে এসেছে এনায়েতউল্লাহ কে, মেয়েটার কেউ কেউ কাছের বলতে। এক চাচী আছে সে ও ঠিকে ঝি। বাড়ি বাড়ি কাজ করে বেড়ায় সে। বাচ্চা মেয়েটি বস্তিতে একা নিরাপদ নয় তাই মেয়েটিকে আর সেখানে না রেখে এই বাসায় টুকটাক কাজের জন্য রাখা হয়েছে। মাস শেষে তিনহাজার টাকা পায় সেই চাচী তাই এই মারধরের ব্যাপার টাকার সামনে আর টেকে না। টাকা পেয়ে পাঁচশ'র মত খরচ করে জামাকাপড় কিনে দেন মেয়েটিকে বাকী টাকা নিজের কাছে রেখে দেন। মেয়েটির হাতে একটা পয়সা জোটে না, কেবল জোটে মারধর।
মেয়েটি কাপ সেই টী টেবিলে রেখেই আবার চলে যায় কাজে।
এনায়েতউল্লাহর বৃদ্ধ হাত অসাবধানে ফেলে দিল চায়ের কাপ বৌমা ছুটে এলো দ্রুত। তার বাবার বাড়ি থেকে পাওয়া কাপের সেটে এখন একটা পিস মিসিং।
সহ্য হল না বৌয়ের!
রাগ আর বাবার উপর না ঝেরে তুমুল মারধর করলেন কাজের মেয়েটাকে। এবার আর এনায়েতউল্লাহ গেলেন না বাঁচাতে। নিজেকে এতো ছোট, এতো নীচ তার কোনদিনই মনে হয় নি।
সমস্তটা একটা রি রি করা ঘৃণার মত আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে এই বিছানায়। নিজের স্ত্রী থাকলে হয়ত বলতেন, " একা একা তো এখন আমাকে ফেলে ভালোই আছো!"
পাশের ফ্ল্যাট থেকে শায়নীর আম্মু ছুটে না এলে আজ হয়ত কাজের মেয়েটা মারা পড়ত এ বাড়ির লক্ষী বৌয়ের হাতে।
শায়নীর আম্মু ও থামিয়ে বললেন, " দেখেছেন ভাবী, কেমন করে আবার তাকিয়ে আছে। আমার বাচ্চারা কখনো এত্ত সাহস পায় না জানেন?"
আরো একবার তেড়ে গিয়ে গালে একটা চড় বসালেন তিনি।
-আর আপনারা বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিন না আপনার শ্বশুর কে, আমি টুটুনের বাবা কে বলেই আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি দুজন কেই পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখানেই ভালো থাকবে তারা। আর ভাবুন তো! এদের রেখে বাইরেও যেতে পারতাম না।
কি যে ইনসিকিউরড ফিল হতো ভাবী!
বিছানায় বসে সব শুনলেন এনায়েতউল্লাহ। তিনি সাত পাঁচ ভাবতে লাগলেন। তার যুবা বয়সের কথা মনে পড়ল। তখন তিনি সদ্য শিক্ষক। গণিত পড়ান ক্লাস এইটে। সেই সাথে ছাত্রছাত্রীদের চরম পেটান। ভয়ে সবাই অস্থির তখন। আর যাই হোক অংক ভুল করা যাবে না।
রহমত নামে একটা ছেলে ছিল তার ক্লাসে, সে রীতিমত সাহসী। একবার না বেশকয়েকবার সে অংক না করে ক্লাসে আসতো। তার নাকি স্যারের মার খেতে ভাল লাগে। এনায়েতউল্লাহ পরে নিজে থেকে খবর নিলেন রহমতের, জানা গেল তার মা ছোটবেলায় মারা গেছে। বাবা আরেকটা বিয়ে করেছে। সৎ মা তাকে খেতে দেয় না। তাই সে সারাদিন গ্রামের ভেতর ঘুরে বেড়ায়, এ গাছের ফল সে বাড়ির চিড়ামুড়ি, বন্ধুর বাড়িতে শুয়ে বসে কাটায়। রাতে বাড়ি ফিরলে বাড়ির ঘানি তে কাজ করায় ওর বাবা। সারারাত ঘানি টানে, ভোরে একটু শুয়ে আবার সকালে স্কুলে আসে।
এনায়েতউল্লাহ'র মনে মায়া হল। তিনি আর তার ক্লাসে ওকে মারতেন না। রহমত কে কাছে ডেকে অংক বুঝিয়ে দিতেন। ছেলেটা দারুন মেধাবী, একবার বলে দিলে ই হয়ে যেত। ঈদের আগে নিজের পকেটে থেকে টাকা খরচ করে ওর জন্য একটা জামা আর ফুল প্যান্ট কিনে হাতে দিলেন।
হাউমাউ করে স্যারকে জড়িয়ে ছেলেটা কেঁদেছিল সে সময়, স্যার! আপনি এত্ত ভালো ক্যান!! স্যার!! কেঁদে কেঁদে একাকার হয়েছিল সেদিন ছেলেটি।
বড় ছেলের বাড়ি আসবার পথে তার সাথে সেবার দেখা হয়েছিল। ম্যাসাচুসেট্স থেকে ডক্টরেট করেছে। সেখানে এখন সে প্রফেসর। এতবছর পর স্যার কে দেখে ওর চিনতে কোন ভুল হয়নি। স্যারের পা ছুঁয়ে সালাম করে স্যারকে জড়িয়ে তখনো সে কেঁদেছে। স্যার না থাকলে স্কলারশিপ পেয়ে সেখানে ডক্টরেট করাটা হয়ত ওর হতো না।
রহমতের কথা মনে হতে ই এনায়েতউল্লাহ'র চোখের কোণা ভিজে গেল আবেগে।

(৫)

চিঠিটা আমেরিকার,
আজই এসেছে
স্যার আমার সালাম নেবেন। আমি জানি আপনি সবসময় ভাল চিন্তা এবং পজেটিভ সিদ্ধান্ত নেন। আপনি আমার জীবনে বড় একটা পাওয়া। আপনার এই ইচ্ছে টাও পূরণ হোক সেই কামনা থাকল। আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি এবং এলিস ভালো আছি। এলিস আপনার কথা শুনে আপনাকে দেখতে চেয়েছে। আমি গ্রামের সাইবার কামরুল কে বলেছি। আপনাকে আমাদের সাথে স্কাইপে কানেক্ট করিয়ে দিতে।
দোয়া করবেন,
রহমত।
একবুক নিঃশ্বাস নিয়ে এনায়েতউল্লাহ'র এত ভাল লাগছে এতদিন পর বেঁচে থাকার ইচ্ছে টা অনেক বড় করে দেখা দিয়েছে চোখের সামনে। রগড়ে চোখের জল মুছে আবার চশমা টা পড়লেন তিনি। কয়েকশ বাচ্চামুখ চেঁচিয়ে উঠল খিলখিল শব্দে, "স্যার কাঁদছে.. হিহি.."
এনায়েতউল্লাহ একটু হাসলেন তারপর বললেন তোমরা পড়া শুরু করো ছেলেমেয়েরা। বানান ভুল করা যাবে না একদম।
ক্লাসের বাইরে এসে পত্রিকায় চোখ বুলালেন তিনি, তার চোখ আটকে গেল এক কোণা তে,
" সম্মানিত ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি আকিফ হাসানে পিতা মোঃ এনায়েতউল্লাহ কে পাওয়া যাচ্ছে না। কোন সহৃদয় ব্যক্তি উনার সন্ধান পেলে তার সন্ধান দিতে অনুরোধ করা হলো, ফোন নম্বর, ঠিকানা ইত্যাদি "
পত্রিকাটা মুচড়ে ছিড়ে ছুড়ে ফেললেন তিনি। তার চোখ গেল সাইনবোর্ডে। সেখানে বড় বড় হরফে লেখা " এনায়েতউল্লাহ'র আদর্শ স্কুল, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আশ্রয়স্থল "
ভেতরে উঁকি দিয়ে সেই কাজের মেয়েটিকেও দেখা গেল, ওর নাম সাথী।


(সমাপ্ত)


গল্পের সমস্ত ঘটনা কাল্পনিক এর সাথে জীবিত, মৃত কিংবা অর্ধমৃত কারো কোন মিল খুঁজে পেলে তা একান্ত কাকতালীয়)


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উত্তপ্ত পৃথিবী এবং চল্লিশ ডিগ্রি

  সাম্প্রতিক সময়ে হিট ওয়েভ এর প্রভাব (ছবিঃ Google) পৃথিবী কেন গরমঃ                       ধরা যাক, একটি কাপে বেশ গরম চা এবং অন্য একটি কাপে ফ...