(এক)
ভোর হবে হবে করছে,
আমি এখনও কিবোর্ডের কি
খটখট শব্দ তুলে টাইপ করে চলেছি। অফিসের একটা জরুরি ফাইল সপ্তাহ ধরে পড়ে আছে। আমিও হেলাফেলা
করে হাতে তুলি না। আলসে নই, তবুও এটা আমার অভ্যাগত রোগ। বস আজকে হুমকি দিয়েছেন অফিসে।
না করে উপায় নেই!
আসলে যেটা করবো না সেটা
পড়ে ই থাকে। শুধু এই অফিসের কাজ টা নয় আরো আছে। এমনকি মাঝরাতে পানি খাবার মত ব্যাপার
টাও। যেমন, পানির বোতল পাশের পায়ের কাছে নয়ত কম্পিউটার ডেস্কে রাখা অথচ মুখে তুলবো
না!
কটমট করে টাইপ টা প্রায়
শেষ করে এনেছি।
এদিকে শেষ হতে না হতে
ই তিয়াশার ফোন। এই ভোররাত ৫ টায় ফোন?
টেলিপ্যাথি! জেগে আছি
জানলো কি করে? মাথা চুলকে ফোন রিসিভ করে বললাম,
-হ্যালো
-হ্যালো মানে? ঘুমাও
নি?
-হ্যাঁ ওইত!
-তুমি জেগে জেগে কি করছিলে?
-অফিসের একটা ফাইল পড়ে
ছিল, সেটাই কমপ্লিট করা।
-নাও এবার ঘুম দিয়ো না।
-ঘুম দেবো না!
-না, ফ্রেশ হয়ে বাইরে
হেঁটে আসো।
হাসি দিয়ে বললাম, আচ্ছা।
এই আচ্ছা মানে আমি ৮
টা পর্যন্ত ঘুমাবো। এটা তিয়াশা বোঝে। তাই জোর গলায় বলল, শোন! আমি ইউনিভারসিটি যাবার
আগে বাসার বারান্দায় কফির মগ হাতে যেন তোমাকে দেখতে পাই।
আমি ওকে বলে, বিছানায়
পড়ে গেলাম।
ঘুম ভাঙল, অ্যালার্মের
জোর প্রচার প্রচারণার শব্দে। চোখ কচলে দেখি
৮ টা ১০। ফোনে দুটো মিসড কল!
দৌড়ে কিচেন থেকে কফির
মগ নিয়ে সোজা বারান্দায় ছুট দিলাম।
সোজা খোঁজাখুঁজি ঘুমভাঙা
ঝাপসা চোখ জোড়ার। ইউরেকা! পেয়েছি বলেই কফির
খালি মগ ঠোঁটে ছোঁয়ানোর ভান করলাম। বোঝাতে হবে তো সকালে উঠেছি।
নীল লালে মোড়ানো পোষাকে
মেয়েটা আগের দিনের সন্ন্যাসীর মত বড়বড় রাগী চোখ করে আমার বাসার বারান্দার দিকে তাকিয়ে।
ইশারা করে দেখালো ফোন
কই? আর আমি যাতে ফোন ধরি।
ফোন বিছানায় পড়ে আছে।
দৌড়ে এলাম আবার ঘরে, ফোন নিয়ে আবার বারান্দায়।
-হ্যালো
-কি? ঘুমিয়েছিলে?
-আরে না না! আমার ঘুম পায় ই না!
-তাহলে খালি কফির মগ
ঠোঁট ছোঁয়াচ্ছ কেন? মগে ধোঁয়া কই?
-খালি? হাহা কি যে বলো
তুমি, হা হা খালি!
-তাহলে কফির মগ টা উলটে
ফেলো।
-উলটে, এই না না ছিঃ
ছিঃ লোকের মাথায় পড়ে যাবে।
-পড়ুক! যা বলছি করো। নয়ত আমি উপরে আসছি।
-না না করছি ( বলে মগ
টা উল্টে দিলাম, কফি ছিল না সে তো আমি জানি, এবার ও জেনে গেল)
ও রক্তচক্ষু দিয়ে একবার
উপরে তাকাল তারপর রেগে গজগজ করতে করতে রিক্সা ডাকল।
এই রিক্সা?
হ্যালো তিয়াশা? তিয়াশা?
ফোনের অপারেটর আমাকে
লাস্ট কল ডিউরেশন টা দেখালো। তিয়াশা ফোন রেখে দিয়েছে।
ধ্যাত! গেল সকাল।
(দুই)
বিকেলবেলা অনেকবার কল
করেও তিয়াশা কে ফোনে পেলাম না। মেসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ কোথাও নেই। রাগ করলে মেয়েটা
ইচ্ছে করেই এমন সাজা দেয়। হুট করেই উধাও হয়ে যায়। তবে সব সমস্যার একটা না একটা সমাধান
থাকে, সেটা খুব সহজ নয়ত খুব কঠিন। এই সমস্যার ও সমাধান আছে সেটা খুব কঠিন।
আমি জানি তিয়াশা কই আছে।
কি করছে সেও জানি।
একমাত্র সমাধান এখন সোজাসুজি
তিয়াশার বাসায় যাওয়া। তিয়াশার আব্বু রিটায়ার্ড কর্নেল জহির উদ্দিন। লোকটাকে কে বলেছিল,
বাবা তোমার গোঁফ টা বেশ!
বোঁচা নাকের উপর একগাঁদা
পুরু গোঁফ। দেখলে ভয় লাগে। গলার আওয়াজ, সে আর না বলি। আর ওর আম্মু, আমাকে দেখে একদিন
খুশী তো অন্যদিন চেনে না।
তাই ইচ্ছেও করে না যেয়ে
একবার দেখা করি।
আর এই বিকেলে জহির সাহেব
তার আর্মি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে ক্যান্টমেন্টে যান। সুযোগ টা ভালো ই অন্ততপক্ষে
কড়া কথা শোনা লাগে না।
তারপরেও মন মানানো বলে
কথা। উপরওয়ালার নাম নিয়ে বুকে তিনটা ফুঁ দিয়ে বললাম, হে উপরওয়ালা, আজকে যেন কোন গ্যাঞ্জাম
না হয়।
ছুটি নিতে গেলাম বসের
রুমে।
এসি রুমে স্যার ফ্যান
ছেড়ে টেবিলে পা তুলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচ দেখছেন।
-স্যার, একটু! আসবো?
-ও হ্যাঁ সীমান্ত! এসো, খুব হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ। ৩০ বলে ৩৫ রান। ইচ্ছে
করছে অফিসের বস না হলে একদিন ক্রিকেটার হতাম। ইস! কত স্বপ্ন যে অধরা থেকে গেল।
-স্যার!
-কি? বলে ফেলো সেই কতক্ষণ ধরে স্যার স্যার করে যাচ্ছো?
ম্যাচের টেনশন আর তোমার ইতিউতি। বি কুইক!
-স্যার আমি একটু.. (
বলতে গিয়ে থামতে হলো, অফিসের হাবিব ভাই এক ফাইল নিয়ে স্যারের রুমে)
বস হাবিব কে দেখেই, এসো
হাবিব! কি হয়েছে?
-স্যার, এই ফাইল টা লাস্ট
চেক করতে দেয়া হয়েছিল সীমান্ত কে। আজ চেক করে দেখি তাতে গোটা পাঁচেক ভুল, আমি চেক না
করলে একাউন্টস থেকে হাজার বিশেক টাকা এদিকওদিক হয়ে যেত স্যার!
-স্যার, কড়াত করে উঠে
দাঁড়ালেন। সীমান্ত? হোয়াট ইজ দিস?
-জ্বী স্যার (নীচু গলায়)
-যাও জলদি এই ফাইল মেলাও।
-স্যার ছুটি
-নিকুচি করলাম ছুটি
-আমার আজ আগে। কাজ শেষ
তারপর ছুটি, যাও।
হঠাৎ টিভি স্ক্রিনে ছয়
হতে দেখে ই স্যার চেঁচালেন ছয়....য়য়য়..
একেই বলে পোড়াকপালে,
উপরওয়ালা আজ আমাকে কোন চান্স দিলেন না। সেই
ফাইল গোছাতে গোছাতে সন্ধ্যে
৬ টা। ব্যাগ নিয়ে ঝট করে বেড়িয়ে পড়লাম। বৃষ্টি হচ্ছে, আমাকে রাস্তায় দেখে হয়ত তার পরিমাণ
এবার দ্বিগুন হলো।
একটা সিএনজি হাতের ইশারায় থামালাম
-যাবে?
-যামু স্যার, তয় একশ
ট্যাকা বাড়াই দিয়েন। বৃষ্টির দিন! নাইলে যামু না।
-আচ্ছা দিব। স্টার্ট
দাও জলদি।
ভাবছি, তিয়াশার কর্নেল
আব্বু এখনো ফেরেনি, উনি ফিরে আসেন সাত টা কি আট টা। আজ দেরী ই করবেন। বৃষ্টির শুভকামনা
করতে করতে পৌঁছে গেলাম তিয়াশার বাসায়।
বেল দিতে ই আন্টি এসে
খুলে দিল দরজা।
-সীমান্ত? কেমন আছো?
ভেতরে এসো, বসো।
-আন্টি তিয়াশা?
-তুমি বসো, আমি ওকে ডাকছি।
তিয়াশা...তিয়াশা.... ডাকতে ডাকতে উনি ড্রয়িংরুম ছেড়ে ভেতরে গেলেন।
আমি বোকাটে হাসি দিয়ে
চুপচাপ সোফায় বসে গেলাম। রুমে আর কেউ নেই খুব নিস্তব্ধতা ঘর জুড়ে। হঠাৎ বা'দিকে ঘাড়
ঘুরিয়ে দেখি আংকেল সোফায় পত্রিকা পড়ছেন।
-কি?
-জ্বী (ভয়ে গলা চেঁপে
গেছে আমার)
-কোথা থেকে আসা হলো?
-অফিস! ওই অফিস।
-এতো লেইট!
-কাজ বাকী না মানে ওই
চাপ! (মনে মনে বলছি বাপরে বাপ!)
-চা খাও? মানে অভ্যাস
আছে।
-জ্বী না।
-আজ আড্ডা দিলেন না?
(সাহস করে বললাম)
-আড্ডা শেষ! (চোখ পাঁকিয়ে
উত্তর দিলেন, আমিও চুপ করে গেলাম)
হাঁক দিলেন মোটা বাঁজখাই
গলায়, সিদ্দিক... চা আন এক কাপ!
তিয়াশা এলো আরো মিনিট
পাঁচ পর।
বলল, এসো আমার সাথে।
( এসো আমার সাথে বলবার
পর আংকেল একবার আমার দিকে একবার তিয়াশার দিকে তাকালেন, তারপর চোখ যথারীতি পত্রিকায়)
আমরা দুজন বাড়ির ছাদে এলাম।
সন্ধ্যে হয়ে গেছে বেশ
আগে। এখন রাতের আকাশে অসংখ্য তারা যেন একটার পিঠে একটা বসে আছে। কিন্তু কোন বিবাদ নেই।
তিয়াশা বলল,
-কফি খাবে?
-না থাক! আগে বলো ফোন
অফ করে রাখলে তো কারো বেশী খারাপ লাগে এটা তো একজনের জানা উচিত।
-লাগুক!
-সে একজনের খারাপ লাগে
না?
-না লাগলে রাগ দেখানো
ই বা কেন সে কেউ জানে না!
-আচ্ছা সরি। আর লেইট
হবে না।
-প্রমিস?
-না প্রমিস না।
আবার তিয়াশার মুখ ভার।
শোন, কুমড়োপটাশ! ভারী মুখ করো না বুঝেছো। কাল আমার অফিস ছুটি কাল
চলো না ঘুরতে বের হই!
তিয়াশা মুখ ভার কমে নি,
ব্যাগ থেকে খচমচে শব্দে গিফটা হাতে তুলে বললাম। এটা তোমার।
কাল রেডী থেকো। এবার
একটু হাত টা প্লিজ ধরতে পারি ম্যাডাম?
ওকে কিন্তু কাল লেইট
নয়।
ওকে ডান।
(তিন)
সকাল বেলা একজন ব্যাচেলরের
জন্য কতটা কষ্টের আর ঝক্কিঝামেলার ব্যাপার সেটা ব্যাচেলর ছাড়া আর কেউ বুঝবে না।
ডিম মামলেট, সেদ্ধ ভাত
তাতে কাঁচা মরিচ। এই হলো সকালের নাস্তা।
আমার রুমে আরো এক বন্ধু
আছে। ইশতিয়াক।
শুকনো করে ছেলেটা এখন
আইটি জিনিয়াস।
আমার পাশের রুম টা ওর।
দিন চারেকের জন্য গেছে কক্সবাজার। অফিস ট্যুর। ও থাকলে মামলেট খাবার মত একটু উপযোগী
হয়।
আমি জলদি খেয়ে বেড়িয়ে
পড়লাম একটা পাঞ্জাবি'র সন্ধানে। অ্যাশ কালারের একটা পাঞ্জাবি।
তিয়াশা কে দিয়েছি হালকা
সাদা আর অ্যাশের শেইড দেয়া শাড়ি। বিকেলবেলা আজ দেরী করা আমার মোটেই চলবে না।
গিফট টা পেয়ে গতকাল রাতে
মুঠোফোনে মেয়েটা " ভালোবাসি '' লিখে পাঠিয়েছে।
ভয় করছিল তিয়াশার বাসা
থেকে যখন ফিরছিলাম। আমাকে মোটেই পছন্দ করেন না কর্নেল সাহেব। উনার ইচ্ছে কোন এক মেজরের
সাথে মেয়ের বিয়ে দেবেন। আমার কারনে তার মেয়ের মাথা বিগড়ে গেছে। আমি অবশ্য লোকটাকে ভয় ই পাই, এমন একজন কেউ ভবিষ্যৎ
এ আমার শ্বশুর হবে। ভাবতে ই গলার গলি টা শুকিয়ে যায়।
পাঞ্জাবি টা শেষতক পেলাম
একটা ব্রান্ডের শপে। পছন্দের জিনিস পাওয়া আজকাল বেজায় সমস্যা। আর অনলাইনে কিনতে গেলেও
ট্রাস্ট ইস্যু। দেখাবে ময়ূর আর পাঠাবে কাকের ছানা!
শপিং শেষ করে ফিরলাম
বাসায়। আজ রেডিমেড খাবার এনেছি। কাচ্চিবিরিয়ানি টা ছুটিরদিনে বেশ ভালো লাগে। জম্পেশ একটা গোসল দিয়ে কাচ্চিবিরিয়ানি টা দিয়ে লাঞ্চ
করে একটা তৃপ্তির ঢেঁকুর দিলাম। চিকেন টা ভালো জমেছিল। এরপর তিনটে বরাবর অ্যালার্ম
দিয়ে শুয়ে গেলাম।
(চার)
ঘুম ভাঙল অ্যালার্ম ছাড়া,
দেখি ২ টা ৫৭ মিনিট।
অ্যালার্ম টা অফ করে
জলদি উপরওয়ালা কে ধন্যবাদ দিলাম, আজ দেরী হলে গেছিলাম!
পাঞ্জাবি টা গায়ে দিয়ে,
জিন্স পড়ে পারফিউম দিয়ে তিয়াশাকে ফোন দিলাম।
হ্যালো?
কোথায় তুমি?
আরেব্বাস! আজ দেখি সাহেব
ঠিক টাইমে। এই বের হলাম।
শোন তুমি বাসায় না এসে
একেবারে স্ট্যান্ডে যাও। ওখানে কফি শপ, ঠিক দোতলায় সেটা সেখানে বসো। আমি এই লক করে
বের হচ্ছি।
আচ্ছা, দেরী করো না কিন্তু!
না! এই আসছি।
ফুল কিনব ভাবছিলাম, হঠাৎ
মাথায় এলো এক দুষ্ট বুদ্ধি। নিজেকে এখন মহা আইডিয়াধারী মনে হচ্ছে। প্লান মত কাজ করলাম।
রিক্সা করে পৌঁছে গেলাম
কফি শপে।
শাড়িপরিহিতা আমার চেনা,
আমার আজকের টাইম টেবিল তিয়াশাকে মুগ্ধ করেছে। তিয়াশা আমাকে জিজ্ঞেস করল,
-কফি খাবে?
-এই গরমে?
-কোল্ড কফি গাঁধা!
-হুম, হোক।
দুজনে কফির মগে ঠোঁট
ছুঁইয়ে এবার বের হলাম পথে, বললাম নে চল। আমরা আজ আমার সেই ইউনিভার্সিটি তে। তুই আমার
জুনিয়র আর আমি তোর সিনিয়র। কেমন হবে বলতো?
ফালতু!
হা হা।
পাঞ্জাবির পকেট থেকে
কৃষ্ণচূড়া ফুলের সুতোবাঁধা তোড়া টা তিয়াশার হাতে দিয়ে বললাম। " তোর প্রিয় ফুল,
আসার সময় মনে পড়ল তোকে দেব। তাই সিএনজি করে ইউনিভার্সিটি গিয়ে সিএনজিওয়ালা কে মোটা
বখশিশ দিয়ে পাড়িয়ে এনেছি "।
তিয়াশা একটা নীচু হাসিমাখা
নজরে আমার দিকে তাকালো। এই নজর টা আমার চেনা, ইউনিভার্সিটি লাইফের সেই প্রথমদিককার
কথা।
বললাম, নাও তুই তোকারি
শেষ এবার চলো রাস্তাটা পার হই।
তিয়াশা কি একটা ভাবছিল
আমিও মোহে ছিলাম তিয়াশার হাত ধরে টান দিয়ে রাস্তা পার হয়ে গিয়ে বেপরোয়া একটা মিনিবাস
আমাকে ধাক্কা দিল। আমি ছিটকে গেলাম রোডের পাশে। শেষ ঝাপসা চোখে দেখলাম তিয়াশা ছুটে
এসে আমার মাথাটা কোলে নিল।
ঘুম ভাঙল পিঠে জোরদার একটা চাপর খেয়ে।
-কি রে? পড়ে আছিস! গেইট খুলে! চোর এলে?
-কে রে?
স্বপ্ন দেখছিলাম! কে রে?
স্বপ্ন দেখছিলাম! কে রে?
আরে উঠ! আমি ইশতিয়াক। সেই কখন রুমে এসেছি। এসে দেখি
তোর ফোনে অ্যালার্ম বাজছে। তুই ঘুমে তো নিরুদ্দেশ। আমি এদিকে নক করতে করতে টায়ার্ড। বাইরে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে, পরে লক
ঘুরিয়ে দেখি দরজা খোলা! দরজা খুলে ঘুমাচ্ছিলি কেন হতভাগা? ভূতে ধরেছে নাকি?
ওর কথার গুরুত্ব না দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, " কয়টা বাজে দোস্ত? "
ওর কথার গুরুত্ব না দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, " কয়টা বাজে দোস্ত? "
এই তো! ৩ টে ৫৫ মিনিট!
-কেন? কোন কাজ আছে তোর?
-কাজ মানে! মহা এসাইনমেন্ট!
-তাহলে পড়ে পড়ে ঘুম কেন? এই বিকেলে কাজ? নিশ্চই তিয়াশা আপি?আমি চোখটা রগরে নিয়ে মুচকি হেসে বললাম, হুম! বন্ধু। আজ কথা দিয়েছি বাইরে ঘুরবো আমরা দুজন। মাঝ থেকে কি সব আজেবাজে স্বপ্ন দেখছিলাম!
-নে বেড়িয়ে যা, স্বপ্ন দেখা টা এবার ছেড়ে দে।
ভুলভাল স্বপ্নে ডূবে মরিস পরে, আগে সুসময়ে ফিরে আয়। বলতে বলতে টাওয়েল নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেল ইশতিয়াক।
আমি ফোন হাতে নিলাম, মুচকি হাসি দেয়া ছবির মেয়েটাকে একটা ফোন দিতে হবে।
মেয়েটি সেই যে বসে আছে আমার অপেক্ষায়।
হ্যালো তিয়াশা?
তুমি রেডী?
উত্তর আসে চটজলদি, "ইয়েস "।
(সমাপ্ত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন