সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০১৯

গল্পঃ নূপুর (ভৌতিক থ্রিলার)


(এক)
এ তো অসম্ভব!!
কেন অসম্ভব মশাই? যা বলছি সত্যিটাই বলছি!
না না! দেখুন আমি গল্প লেখি সে ঠিক আছে কিন্তু এসব রুপকথার গল্প
আমাকে কেন, যে কাউকে বললে বিশ্বাস করবে না!
দেখুন বিভূতি 'দা ঘটনা একদম সত্যি। তাছাড়া এসব ঘটনার খপ্পরে আপনি ও
তো বেশ ক'বার পড়েছেন!
হ্যা তা তো ঠিক, তবে সরাসরি তো আর ভূতের খপ্পরে পড়িনি ভাই!
তো! এবার চলেন না আমার সাথে, একসাথে ক'দিন ঘুরে এলেন,
সেই সাথে ভূত দর্শন।
আবিদ ভাইয়ের প্রস্তাব মন্দ না। এই মাসে পত্রিকার প্রেসের কাজ
প্রায় শেষ। যা কিছু আছে তা বাকীরা সামলাতে পারবে। এখন শুধু আমার
কিছু কেনাকাটা আছে, সেও বাসার জন্য। একা মানুষের তেমন খরচাপাতি
নেই বললেই চলে।
আবিদ সাহেব আমার পরিচিত বন্ধু মানুষ। পরিচিত বন্ধু বলার মানে এই, তার
সাথে মাত্র বছর তি'নেকের পরিচয়।
আমার অফিসে প্রায় আসেন প্রেসের কাজে, সেই থেকে
কথাবার্তা, তারপর বন্ধুত্ব।
বয়েস আমার কাছাকাছি। তবে আমার মত জুলফিতে পাঁক আসেনি।
ওনার বেশ কয়েকটা ভালো দিক আছে, তিনি আমার মত সিগারেট খান না।
তবে চা পানের প্রতি তার প্রবল আগ্রহ।
চামচের কাপে টুনটুন শুনলেই তার চা খেতে ইচ্ছে হয়। ব্যাপারটা বেশ
হাস্যকর হলেও সত্যি।
আমার যেমন সিগারেটের গন্ধ নাকে গেলে খেতে ইচ্ছে হয়
ঠিক তেমনি।
ভদ্রলোকের বাড়ি পুরোনো ঢাকার এক নামকরা এলাকায়। এক নামে
সে এলাকার সবাই তার বাপ-চাচাদের চেনে।
কড়া ব্যাবসায়ী। আমাদের প্রেসে কাগজের সাপ্লাই দেন। রীতিমত
বাধা বিক্রেতা।
সে যাই হোক, ভদ্রলোকের পুরোনো ঢাকার বাড়ি ঘিরেই রহস্য।
সে রহস্যর কথা শুনে আমিও বেশ উৎসাহী! কারন তিনি যে ধরনের
রহস্য বলছেন সেটা আবার মানুষ সমাজের বাইরের বিষয়। তাই এই
রহস্যের প্রতি আমার টান আরো বেশী।
তিনিও আমার জন্য ব্যাপক আয়োজন করছেন।
কি? কি ভাবছেন দাদাভাই? ভয় পাচ্ছেন?
আরে না না, ভাবছি আপনার বাসায় গিয়ে অযথা কষ্ট দেবার কোন মানে
হয়?
ধ্যাত, এসব কোন কথা? আপনাদের প্রেসে কি আমি আসি না। এটা
আপনার জন্য আমার একটা ছোট্ট উপহার হিসেবে ধরে নিন না!
রাজী হলাম। মনে মনে আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল সেটা আগেই
বলেছি।
তো রহস্যের মূল ব্যাপারে আসি, ভদ্রলোকের বাসা দোতলা।
নীচতলায় কাজের লোক থাকে। আর দোতলায় সে নিজে এবং তার
বাবা-মা থাকে। বাড়ির
পাশে প্রধান সড়ক, আশে পাশে বাড়ি বলতে হিজিবিজি লাগা দশা। দম
ফেলার জায়গা নেই কোথাও। তো তার বাড়ির ছাদে প্রতি রাতে
নূপূরের আওয়াজ পাওয়া যায়। প্রথমে সে ভেবেছিল কাজের
মেয়েটি হয়ত নূপূর পড়ে হাটে কিন্তু ক'দিন পরেই সে ভুল ভাঙল।
কাজের মেয়েকে নূপূরের কথা জিজ্ঞেস করতেই, সে রীতিমত
ব্যাপারটা অস্বীকার করল।
তাই নিয়ে ভয়ে আছে তার পরিবার। বেশ ক'বার বাড়ি ঝাড়ফুঁক করা
হয়েছে তবুও কাজ হচ্ছে না।
তিনি আমার বুদ্ধিমত্বার কথা জেনেছেন তাই সে বিশ্বাসে আমার কাছে
এই ব্যাপারে মুখ খোলা।
আমারও কৌতূহল, দুয়ে দুয়ে মিলে তাই চার!
অফিসে চা খেতে খেতে ঠিক হল আমি তার বাড়ি যাচ্ছি আগামী
সোমবার। মানে একুশ তারিখ।
বাড়ির ঠিকানা আমায় দিয়ে গেলেন তিনি। নোটপ্যাডে টুকে রাখলাম
আরর ফোন নম্বর তো আছেই।
সব কিছু ঠিক করে সোমবার বিকেলে পৌঁছে গেলাম আবিদ
সাহেবের বাড়ি।
পুরোনো বাড়ি।
দেখেই গা ছমছম করে। সাদা লুংগি আর মাথায় টুপি, হাতে লাঠি। সে বয়স্ক
ভদ্রলোক আমাকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে আবিদ সাহেবকে
বললেন 'কেঠায় এইটা? '
'আব্বা, আমার বন্ধু মানুছ। আমার পরিচিত দাদাভাই, আগেই কইছিলাম না
বেড়াইতে আইব!'
'ও হু, আইচ্ছা। আমি নামাজে গেলাম। তোর আম্মারে ক মেহমানদারি
যাতে ভালো কইরা করে।'
আইচ্ছা আব্বা।'
(ভদ্রলোক লাঠি ভর করে সিড়ি ধরে নীচে চলে গেলেন)
আসেন দাদা, আসেন সিড়ি অনেক পুরানো তাই সাবধানে!
বাইরে থেকে যা ভেবেছিলাম, সেটা ভেতরে এসে প্রায় উল্টে
গেল। বাইরের দেয়ালে সুন্দর ঝকঝকে রঙ করা কিন্তু ভেতরে
একদম পানসে!
পুরোনো বাড়ি বাইরে থেকে লোক ভোলানো রঙ করা।
আমাকে গেস্ট রুমে নেয়া হল। আবিদ সাহেব তড়িঘড়ি করছেন
দেখে বললাম, ভাই, প্লিজ এতটা ব্যাস্ত হবেন না। আমি যথেষ্ট
কমফোর্ট ফিল করছি।
আরে না না! কি যে বলেন এতো সামান্য ব্যাপার।
বিকেল চারটায় বাসায় এসেছি। ঘন্টা খানেকের মাঝে সন্ধ্যা থেকে
রাত হয়ে এলো। মাঝে আবিদ সাহেবের স্ত্রী, ছেলে, তার মা
সবার সাথে পরিচয় হল।
আবিদ সাহেবের ছেলে ছোটন। আমাকে নোটন-নোটন ছড়াটা
বলে শোনাল।
প্রচন্ড মিষ্টি ছোটন।
বাড়িতে কাজের লোক দুজন, একজন কাজের মেয়ে আলেয়া আর
আরেকজন ছত্তর। ছত্তর বাড়ির মালি প্লাস দারোয়ান।
তবে দারোয়ান তার নামের সাথে যায় না। পাহারা দেয়ার বদলে সে
রাতে গেটের কাছে নাক ডেকে ঘুমায়। নিতান্ত গরীব আরর
পুরোনো বিধায় কাজ থেকে ছাড়ানো হয় না।
তো রাতে সবার সাথে খেতে বসে দেখি এলাহী ব্যাপার! মুরগী
খাসি, কোনটাই বাদ নেই।
আবিদ সাহেবের বাবা, দাদাজান, সবাই ব্যাবসায়ী
পাকিস্থান আমল থেকে ব্যাবসা করে যাচ্ছেন।
একদম হেরেডিটি মেইনন্টেইন করে যাচ্ছেন।
আবিদ সাহেবের বাবা খাবার টেবিলে বললেন, বাবা, কোন সমস্যা
হইলে আমাগোরে জানাইবা। আমরা তো তোমার আপনা লোকই নাকি?
জ্বী। (মাথা নিচু করে বললাম, এত এলাহী আয়োজন দেখে বেশ
লজ্জাই পাচ্ছিলাম)
খাবার-দাবার শেষ করে শোবার জন্য গেস্ট রুমে এলাম। দোতলার
বাড়িতে তিনটে ঘর। একটা ঘরে আবিদ সাহেবের অসুস্থ আম্মা-আব্বা।
একটায় আবিদ সাহেব ছেলেপুলে নিয়ে নিজে। আর তৃতীয় টা
গেস্ট রুম আমি আজ যেখানে আছি।
গেস্ট রুমে একটা জানালা, সেটা দক্ষিন দিকে।। সরাসরি রাস্তা দেখা যায়
সেটা দিয়ে। হলদে ল্যাম্পপোস্ট জ্বলতে দেখা যায়। বাড়ির প্রধান
গেটটাও নজরে আসে জানালা দিয়ে।
সিগারেটের প্যাকেট থেকে সিগারেট জ্বালাব হঠাৎ
পেছন থেকে আবিদ সাহেব, 'দাদা, ঘুমিয়ে গেছেন? '
আরে না! আসুন প্লিজ, আপনারা একটু বেশী আয়োজন করেছেন!
না না কি যে বলেন, এতো সামান্য। বাই দ্যা ওয়ে, ঘুমিয়ে যাবেন?
তবে বি কেয়ারফুল! শব্দটা শুনতে ভুল করবেন না যেন।
মৃদ্যু হেসে বললাম, সিউর!
আর কিছু লাগলে বলুন, এখনি এনে দিচ্ছি। রাতে কাজের মেয়েটি
নীচে ঘুমায়। সত্তর ও গেটে...
হ্যা, ঐ তো জানালা দিয়ে দেখলাম পড়ে ঘুমাচ্ছে!
সে কি জানে?
আসলে এটা সবাই জানে, আফটার অল বেশ পুরোনো তো তাই, ভয়
পায় অনেকে যারা জানেন না তাদের আর এই নিয়ে বলা হয় না।
আই সি! ওকে, গুড নাইট দেন।
গুড নাইট। (আবিদ সাহেব চলে গেলেন)
আমি ভেতর থেকে দরজা চাপিয়ে দিলাম। এবার ব্যাগ থেকে টর্চ লাইট,
পিতলের হাতুড়ি নিয়ে বিছানায় বালিশের কাছে রাখলাম।
সোজা বাংলায় যাকে বলে," পূর্বপ্রস্তুতি "।
সিগারেট টা এবার জলদি করে জ্বালালাম। একরাশ ধোয়া ছেড়ে
দেখলাম। বাইরের গেটে দারোয়ান ছত্তর এখনো নাক ডেকে
ঘুমাচ্ছে।
বাতি নিভিয়ে বিছানায় এসে গা এলিয়ে দিলাম। ভূত বাবাজী পরে, ঘুম
আগে।
ঘুম এসেছে মিনিট পাঁচেক হবে হয়ত। এমনিতে নতুন পরিবেশে
আমার সহজে ঘুম আসেনা।
শব্দটা শুনতে পেলাম, সিড়ি তে ঝমঝম, ছমছম!
কেউ নূপূর পায়ে সিড়ি ধরে ছাদে যাচ্ছে কিন্তু ছাদে যাবার পর
শব্দের আর কোন আওয়াজ পেলাম না।
অনেকক্ষন জেগে বসে রইলাম, নাহ! আওয়াজ আর নেই।
প্রশ্ন হল কেউ যদি সিড়ি ধরে ছাদেই যাবে সে নীচে নামবে না
কেন?
হঠাৎ ঘমঘম শব্দ কানে এল!
বিছানায় মোবাইলের ভাইব্রেশন। দেখলাম আবিদ সাহেব ফোন
করেছেন,
হ্যালো!
দাদাভাই শুনতে পেলেন?
হুম, কিনতু
কিনতু কি?
আচ্ছা থাক, কাল সকালে কথা হবে।
ফোনে এলার্ম দিয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে দিলাম।
হঠাৎ মনে হল দারোয়ান!
এক লাফে উঠে জানালায় এসে দেখলাম, সে মৃত মানুষের মত
ঘুমাচ্ছে।
(দুই)
পরদিন সকালে নাস্তার টেবিলে কোন কথা হল না আবিদ সাহবের
সাথে। কারন তার সাথে আগেই কথা হয়েছে যাতে তিনি আর আমি ছাড়া
এই ব্যাপারে আর কেউ না জানে।
নাস্তার পর আমি আবিদ সাহেবকে নিয়ে ছাদে গেলাম। ছাদে কেউ
তেমন আসে না। কাপড় চোপড় শুকনো হয় বাড়ির নীচে। ছাদে বড়
একটা পানির ট্যাংক।
এখানে ওখানে ময়লা। কিন্তু কেউ এসে আশেপাশে নেমে যাবে
এই উপায় নেই। তাহলে গতকাল রাতে যে এসেছিল সে নিচে
নেমেছে। আর যদি না নামে সে ভ্যানিশ হয়ে গেছে।
আমার মতে কাজের মেয়ের ঘরে তালা দেয়া উচিত আজ। আবিদ
সাহেব বললেন, এটা অসম্ভব!
সে রাতে কান খাড়া করে ঘুমায়। আমি আমার স্ত্রী নিজে গিয়ে ওর ঘর
চেক করেছি তেমন কিছুই পায়নি ওর কাছে।
তেমন কিছু বলতে?
নূপূর!
হুম।
তাহলে আমি কি বলছি শুনুন। আবিদ সাহেবকে কানে কানে কিছু কথা
বলে আমি একা বাড়ির নীচে গেলাম।
বাড়ির মাথায় একটা টং দোকান আছে, সেখানে চা খাবো।
আবিদ সাহেব আমার প্রস্তাবে রাজি হবেন আমি জানতাম। তাই সমাধানের
পথও পেয়ে যাবো সেও জানি।
আজ এই বাড়িতে দ্বিতীয় রাত। খাবার টেবিলে ছোটন আজ নতুন গল্প
বলল, একটা রাক্ষস আর রাজপুত্রের গল্প। গল্পটা তার দাদীজান তাকে
আজ শুনিয়েছে।
দাদীজান বিছানায় শুয়ে থাকেন। তিনি অসুস্থতাজনিত কারনে টেবিলে
খেতে আসেন না। বিছানা ছেড়ে উঠেন না।
ছোটনের গল্পের রাজকন্যেও আছে, তার নাম রুপবতী। তার গয়না
ভীষণ প্রিয়। বাবার একমাত্র আদুরে মেয়ে, তার জন্য একের পর
এক রাজপুত্র পাল্লা দিয়ে আছে। যে সবচেয়ে বেশী গয়না এনে
দেবে রাজকন্যে কে, তাকে রাজকন্যে বিয়ে করবে।
অনেক রাজপুত্র আসে গয়না নিয়ে কিন্তু রাজকন্যের একটা শর্ত
আছে, রাজকন্যের যত গয়না আছে তার চেয়ে বেশী গয়না হতে
হবে নয়ত হবে না বিয়ে আরর যে গয়না রাজপুত্ররা আনবে তা আর
ফেরত নেয়া যাবে না।
এভাবে রাজকন্যের গয়না বাড়তে থাকে, কারন প্রতিবার সে রাজপুত্রই
আসে তার গয়না কম হয় রাজকন্যের চেয়ে, আর সে গয়না রাজপুত্ররা
রেখে যায়।
রাজকন্যেরর গয়না আর কমে না। বিয়েও হয় না।
অবশেষে এক চোর রাতে রাজপ্রাসাদে এসে গয়না চুরি করে
নিয়ে যায়।
এর কয়েকদিন পর সে ফিরে আসে সব গয়না নিয়ে।
তার সাথে রাজকন্যের বিয়ে হয় ধুমধাম করে।
বিভূতিবাবু গল্প শুনে হেসে উঠলেন।
বাহ, এমন গল্প তো আগে শুনিনি।
ছোটন লাজুক হাসি হাসে।
আজ রাতে, বিভূতিবাবু আরামে ঘুমাচ্ছেন। তার ফোন অফ করা। নয়ত
আবিদ সাহেব শব্দ শুনে এই রাতে ফোন করবেন।
গতরাতের মত দিব্যি সেই নূপূরের শব্দ!
ঝমঝম, ছম -ছম, ঝম!
সকালে উঠেই বিভূতিবাবু একদম রেডি, আজ চলে যাচ্ছি।
আবিদ সাহেব অবাক হয়ে চলে যাচ্ছেন? কিন্তু
হ্যা, সমাধান আছে।
আবিদ সাহেবের বাবা সমাধানের কথা শুনে প্রায় ছুটে এলেন,
ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তুই তারে এয়ার লাইগ্যা
আনছিলি?
আবিদ সাহেব বললেন, হুম।
আমি আবিদ সাহেব কে বললাম, আপনার বাড়ির সবাইকে ডাকুন।
সবাই এলে, বিভূতিবাবু শুরু করলেন, আসলে আপনাদের এই
পুরোনো বাড়ি না ছাড়ার মূল কারন আপনাদের বাড়ির ছাদে পানির ট্রাংকে
থাকা কয়েক'শ ভরি স্বর্ণালংকার।
আপনারা হয়ত জানেন কিন্তু আমি সে ব্যাপারে জানতাম না যদি তালা দেয়া
ছাদে আপনার আম্মা নূপূর পায়ে না যেতেন।
আবিদ সাহেব অবাক হয়ে, আম্মা!
হ্যা, আপনার আম্মা অসুস্থ ঠিক আছে কিন্তু তিনি চলতে পারেন আর
আমার কথা বিশ্বাস না হয়ে তার পায়ের তলা দেখুন।
আমি গতরাতে সবাই ঘুমানোর পর ছাদের থেকে দোতলা পর্যন্ত
বার্লির গুড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম যেটা মোড়ের দোকান থেকে
সকালে এনেছিলাম আমি।
আর আপনার কাজের মেয়ের খাবারে আমার পরামর্শ মত ঘুমের ওষুধ
তো আপনি নিজ হাতে মিশিয়েছিলেন আবিদ সাহেব।
আবিদ সাহেব মাথা নাড়লেন, হ্যা, কিন্তু আম্মা সে কি জন্য।
আপনার আম্মা নূপূর পায়ে রাতে ছাদে যান যাতে সবাই মনে করে
ছাদে অশরীরী কিছু আছে। সবাই ভয়ে তাই দিনেও ছাদে যেতে
চায় না কিন্তু অবাক করা ব্যাপার আমিও অশরীরী বলে ভুল ভাবছিলাম।
যদি না ভোরে সিড়িতে পায়ের ছাপ না দেখতাম।
আমার আশংকা ভুল হয়ে যেত।
আপনার আম্মা বেশ চালাক। কই, প্লিজ ডাকুন তাকে।
আবিদ সাহেবের আম্মাকে আর ডাকতে হল না। তিনি নিজেই এলেন।
এসে তিনি বললেন, বাবা, আবিদ আমি আগের দিনের মানুষ। এত গয়না কই
রাখি চিন্তা করে এই উপায় বের করছিলাম।
এখন তো সব ফাঁস হইয়া গেল!
বিভূতিবাবু হেসে বললেন, ভাল হয়েছে গয়না আজই কোন ব্যাংকে
জমা রাখুন।
সবাই একচোট হেসে দিল।

(গল্পের সমস্ত চরিত্র, ঘটনা, স্থান একেবারে কাল্পনিক। বাস্তব কোন ঘটনার আংশিক ছায়ামাত্র।)

উত্তপ্ত পৃথিবী এবং চল্লিশ ডিগ্রি

  সাম্প্রতিক সময়ে হিট ওয়েভ এর প্রভাব (ছবিঃ Google) পৃথিবী কেন গরমঃ                       ধরা যাক, একটি কাপে বেশ গরম চা এবং অন্য একটি কাপে ফ...